Saturday, December 5, 2015

সময়৭১ বর্তমান প্রজন্মের সকল নাগরিককে সচেতন করার লক্ষ্যে অনলাইন/অফলাইনে কাজ করবে।


সময়৭১ বর্তমান প্রজন্মের সকল নাগরিককে সচেতন করার লক্ষ্যে অনলাইন/অফলাইনে কাজ করবে। 

১। ৭১এর ভয়াবহতা স্বচক্ষে অবলোকন করেনি; 
২। যারা ৭১ এ পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড, লুণ্ঠন ধর্ষণ জ্বালাও পোড়াও সম্পর্কে ন্যূনতম ধারনা পোষণ করে না; 
৩। যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে অস্বীকার করে ভারতীয়তাবাদ বলে আজকের বাড়ন্ত শিশুমনকে আওয়ামী বিরোধী করে তোলার হীন চেষ্টায় লিপ্ত; যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের নায়ক/মহানায়কের আত্বত্যাগকে অপমান অপদস্থ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের মহিমাকে কলুষিত করতে এতটুকুন দ্বীধাবোধ করেনা; 
৪। যারা ধর্মের নামে ইসলামের ঢাক ঢোল পিটিয়ে পাকি ধারায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে বাঙ্গালী জাতিকে হেয়প্রতিপন্ন করার কাজে ব্যতিবস্ত; 
৫। যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো একটি মৌলবাদী জঙ্গি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তান আই এস আই’র অর্থে গোটা দেশে সিরিজ বোমায় ঝলসে দেয় অবোধ শিশুর সোনালী মূখ; 
৬। যারা দরিদ্র্য দীন হীন রোহিঙ্গা মুসলমানদের দাবী আদায় ও পুনর্বাসনের নামে কিশোর যুবকের হাতে তুলে দেয় পেট্রোল বোমা; 
৭। যারা জাতি ধর্ম কুল মান বংশের মাপকাঠিতে মানবসভ্যতাকে সাম্প্রদায়িক দাংগা হাঙ্গামায় মদ্য যুগীয় বর্বরতর আদিম সভ্যতায় রূপান্তরিত করতে চায়;
“সময়৭১” সে সকল পশ্চিমা হায়েনা দজ্জাল ঘাতক দালাল নরপশূ-নরপিশাচদের মুখোশ খুলে দেবার কাজে সদা সর্বদা সচেতনতার সাথে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যাবে। “সময়৭১” এর সকল ভাই বন্ধু সদস্য শুভানুধ্যায়ী ও শূভাকাংখিরা প্রাথমিকভাবে সারা দেশব্যাপী ও বিশ্বব্যাপী সাধারণ সদস্য সংগ্রহের কাজ করবে। কেন্দ্রীয় কমিটি চূড়ান্তভাবে ঘোষণা দেবার পর থেকেই শুরু হবে শাখা কমিটি গঠন ও অনুমোদন। 
“সময়’৭১” একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একান্ত নিজস্ব প্রক্রিয়ায় কিছু “প্রকল্প” চালু করবে; সে সব প্রজকল্পের মাধ্যমে বেকার শিক্ষিত ছেলে/মেয়েদের কর্ম সংস্থানের একটি সুনিপুণ পরিকল্পণা প্রণয়ন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারী বেসরকারি সাহায্য সংস্থাসমূহের পরামর্শ ও লজিষ্টিক সাপোর্ট গ্রহণ করা হবে। “সময়’৭১” বাংলার ইতিহাস রচয়িতা ইতিহাসবিদ, ইতিহাসজ্ঞ ইতিহাসখ্যাত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান/সংস্থা/সঙ্গঠনের সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ন্যায় কাজ করবে। 
“সময়’৭১” মহান মুক্তিযুদ্ধের সমর নায়ক/মহা-নায়ক/সংগঠক/কলা কুশলী/মুক্তিযোদ্ধা/সহ-মুক্তিযোদ্ধা/বিড়ংগনা/ ক্ষতিগ্রস্থ মা-বোনদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণের পাশাপাশি তা’ গনমাধ্যমে পর্যায়ক্রমে প্রচার ও প্রকাশনার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
একজন স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক হিসেবে বা সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দরিদ্র্য দেশের বেকারত্বের অভিশাপে ক্ষত বিক্ষত শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে আমার নিজেকে তুলনামূলকভাবে বঞ্চিত বা অবহেলিত বলবো না। আমরা দামী পোশাক পরিধান করি, পেট ভরে ভাত মাছ মাংস খাই, সিনেমা দেখি, টিভিতে রঙ্গিন নাটক দেখি, গাড়ী বাড়ী বর্ণাঢ্য জীবন যাপন করি আর মুক্তিযোদ্ধারা? কারণ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অতীতে সকল দলই রাজনৈতিক ফায়দা লুটেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান ও মহিমাকে জাতীয় সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে ভূয়সী প্রশংসায় পঞ্চমুখীদের করতালিতে ধন্য হয়েছেন। সভা সমিতি মঞ্চে নিষ্ফল ভ্রান্ত ও মেকির জুলুস ও চপকতায় আব্রিত কৃতিত্বের দাবীদার হয়েছেন। পঙ্গু লাচার মুক্তিযোদ্ধার পাশে দাড়িয়ে যুগল ছবি দুলে মিডিয়ার হাতে তুলে দিয়ে দেশ বরেণ্য নেতা নেত্রী হয়েছেন অনেকেই। কারণ বাঙ্গালী জাতির ৫২ ভাষা আন্দোলনের পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধা ছাড়া অন্য কোন পরিচয় ছিল না।
এই মহান ত্যাগী আত্বহননকারী মুক্তিযোদ্ধাদের দ্রব্যসামগ্রীর বিজ্ঞাপনের মত করে সকল রাজনৈতিক দলগুলোই নিজেদের প্রচার, প্রসার ও ব্যপ্তির অপচেষ্টা করেছেন। একজন বীর মুক্তিসেনা ভিক্ষা করে দিনাতিপাত করেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা চৈত্র- বৈশাখীর ঝড় বৃষ্টি শিলা মাথায় নিয়ে রিকসায় আর একজন স্বাধীন দেশের নাগরিককে নিজের বাড়ীতে পোঁছে দেয়, একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে বাবার

অকাল মৃত্যুতে ম্যাকে নিয়ে ঢাকায় ছুটে যায় কাজের সন্ধানে, সেখানে মা মেয়ে দুজনেই স্বাধীনতার ফসল ঘরে তুলতে গিয়ে মধ্য রাতে ধর্ষিতা হয়ে আবার ফিরে আসে গঞ্জের সে ভাঙ্গা কুঠিরে, একজন মুক্তিযোদ্ধা কমলা পুর রেলস্টেশনের খোলা ফুটপাতে নীল আকাশের নীচে অতি পুরাতন জীর্ণ দুর্গন্ধযুক্ত একটি ছেড়া কম্বল জড়িয়ে অনাহারে ধুকে ধুকে মরে; একজন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্দাপরাধির বিচাররের দাবী তোলাতে জামাত শিবিরের হায়েনা নরপশুর হাতে প্রকাশ্যে পাদুকার পিটুনি খায়। হায়রে স্বাধীনতা তোমার ফসল কোথায়?
অনেক কথাই থেকে যায় হৃদয়ের গভীরে, বলা যায় না। যেমন খোলা ময়দানে লোকারণ্যে গগনবিদারী চিৎকার করে বলা যায় না "আপন বোনের নৈতিক চরিত্রহীনতার কথা" ।
কাকে বলবো? ঠিক স্বাধীনতাত্তোর যুদ্ধবিধস্থ ধ্বংসস্তূপসম এ ভূখণ্ডে অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থানের পাশাপাশি পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের সুচিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের কাজটি জাতিরজনক সরাসরি নিজে তদারকি করেছিলেন। 
যে ব্যক্তি নিজের স্বার্থ উদ্ধারের চেয়ে দেশ ও দেশের গন মানুষের ক্ষুদ্রতম স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, "‪#‎সে‬ মহান ব্যক্তির বিশাল হৃদয়ের বুকের পাঁজরটাকে একদল উচ্চাভিলাষী সেনা সদস্য মূর্খ পাষণ্ডের মত নির্মম নিষ্ঠুরভাবে রাতের আধারে অতর্কিতে বুলেটের আঘাতে ঝাঁজরা করে দিয়েছে#"।
১৯৭২ থেকে এ পর্যন্ত সরকার ও ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রাজনৈতিক সকল দলগুলোর আদর্শ ও উদ্দেশ্য- আদি অন্ত সবকিছুই ভালো ভাবে আবলোকন করেছি। সে থাক, এখন সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর সীমাহীন ত্যাগ ও কর্মের ফল স্বাধীনতা ও সার্বভৌম কে টিকিয়ে রাখা এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। এ কাজটি সরকারী দল তথা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক আগেই শুরু করেছিলেন। কিন্ত সঠিক কাজে যোগ্য ব্যক্তির পদায়ন, যোগ্য কাজে যোগ্যতাঁর ভিত্তিতে ব্যক্তি নির্ধারণ হয়েছে বলে আমি মনে করি না; যে কারণে ইমরান এইচ সরকার "
এর মত লোকেরা অযোগ্য সত্বেও আওয়ামী মিডিয়া সেন্টারের প্রধান হিসেবে গোটা জাতিকে ছোবল মারার সুযোগ পায়। তার মানে এই নয় যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা, বিড়ঙ্গনা, সহায়ক অন্যান্য মুক্তিকামী জনতার অপার ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণের ঘটনাপঞ্জী, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর জীবন প্রবাহ, ত্যাগ সহিষ্ণুতা ইত্যাদি তুলে ধরার দায়িত্ব একাই শেখ হাসিনা বা শেখ রেহানার ? অথবা শুধুই কি মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে সকল দায় দায়িত্ব আওয়ামী লীগের একার ?দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগত শিতের মৌসুমি পাখীর মত আওয়ামী লিগে যোগদানকারী নবাগত ও হাইব্রিডদের এ নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। তারা এসেছেন-গনপিটূনী থেকে বাচার জন্য এবং আওয়ামী ব্যানারে সকল সুযোগ সুবিধাসহ আওয়ামী লীগের নৈতিকতাকে হরণ করার যোগসাজসে।
তাহলে এ কাজটি কার ? কে করবে? ব্যঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠেছে ৭১ নিয়ে সাইনবোর্ড সর্বস্ব সংগঠন। কেউ কেউ চেষ্টা করছেন আন্তরিকতার সাথেই, কেউ ব্যবসার প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের নামের কার্ডে ছাপিয়ে সচিবালয় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এম পি মন্ত্রীগণও তাদের কথা বার্তায় বড়ই সন্তুষ্ট ও আশাবাদী। 
আসলেই কি তাই? এরা কারা? এদের ‪#‎পরিচয়‬ কি? এদের অতীত ‪#‎রাজইনিক‬ ও ‪#‎সামাজিক‬ অবস্থান কোথায় ছিল, কি ছিল? ‪#‎ডানপন্থী‬ না ‪#‎বামপন্থী‬ ? নাকি সামনে অথবা ‪#‎পিছনপন্থী‬? এরা হচ্ছে ‪#‎সুবিধাবাদীপন্থী‬ ।
যা' সত্য তাই তুলে ধরা সময়৭১ এর মূল উদ্দেশ্য। হয়তো আমরা জীবদ্দ্বশায় সফল হবো না। কিনত নতুন প্রজন্মের কেউ না কেউ আমার এ সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এমনই এক প্রত্যাশায় শুরু করেছি ‪#‎সময়৭১‬। এখানে অসৎ উদ্দেশে অনেকেই এসেছেন, সেও আমি জানি, ফায়দা লুটতেও অনেকে লোক দেখানো জয় বাংলা শ্লোগান দেয়, বুকের গভীর থেকে শ্রদ্ধা ভরে ‪#‎জয়বঙ্গবন্ধু‬ ওদের আসেনা, আসতে পারে না। তাও আমরা বুঝি, জানি, চিনি। ‪#‎ধান্দা‬ হা ভাই #ধান্দা । তারপরেও আমি আশাবাদী।
সময়৭১ সব কিছুর উরদ্ধে, সকলের চেয়ে সেরা, দুর্গন্ধহীন ঝামেলামুক্ত, স্বার্থহীনভাবে সত্যাচারে দুর্বিনীত। সততা ও নিষ্ঠায় সর্বোৎকৃষ্ট হবার দুরন্ত বাসনা, দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে অবিচলিত। 

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
www.shomoy71.com

No comments:

Post a Comment